রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
দিরাইয়ে হিকমাহ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশনের শুভ উদ্বোধন আনজুমানে তাহাফফুজে দ্বীনের ক্বিরাআতের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ জমিয়তের ইতিহাসকে সমুন্নত রাখতে হলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে হবে: হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ দিরাইয়ে বজ্রপাতে হতাহত ৩ ইলম অর্জন হতে হবে প্রকৃত আমলের নিয়্যাতে: শায়খুল হাদিস বিলাল বাওয়া সুনামগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে যুবক খুন দিরাইয়ে বজ্রপাতে নিহত পরিবারের পাশে এমপি প্রার্থী রশিদ মিয়া দিরাইয়ে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে হতাহত ৪ নিজ এলাকার মানুষের পাশে রয়েছেন এমপি প্রার্থী রশিদ মিয়া সম্প্রসারণবাদ, আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী গণজোয়ার সৃষ্টি করে মজলুম গাজাবাসীদের পাশে দাঁড়ানো উম্মাহর আবশ্যিক দায়িত্ব
প্রাণভিক্ষার আবেদন দেখানো যাবে না : আইনমন্ত্রী

প্রাণভিক্ষার আবেদন দেখানো যাবে না : আইনমন্ত্রী

anisurpic_104708আমার সুরমা ডটকম : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার আবেদন দেখানো যাবে না। তা দেখাতে হলে রাষ্ট্রপতির অনুমতি লাগবে।আজ সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন আইনমন্ত্রী। আনিসুল হক বলেন, ‘বিদেশি মদদদাতাদের খুশি করতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের পরিবার বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আইন মেনে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই তাঁদের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে। তাঁরা দুজন যে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ বা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই।’ সাংবাদিকরা তাঁদের প্রাণভিক্ষার আবেদন দেখতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের আবেদন দেখানো যাবে না। তা দেখাতে হলে রাষ্ট্রপতির অনুমতি লাগবে।’ মৃত্যুদ- কার্যকর করা নিয়ে বিদেশিদের কোনো চাপ ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘বিদেশি কোনো দেশের চাপ ছিল না। তবে কয়েকটি সংস্থা রায় যাতে কার্যকর না হয়, সে চেষ্টা করেছে।’ আবেদনে কী লেখা ছিল জানতে চাওয়া হলে আইনমন্ত্রী বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ইংরেজিতে এবং মুজাহিদ বাংলায় আবেদন করেন। তাঁরা দুজনই সংবিধানের ৪৯ অধ্যায়ের অধিকারের বলে এ আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি তাঁদের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি নাকচ করার পর এই রায় বাস্তবায়ন করা সরকারের দায়িত্ব হয়ে পড়ে। তাই সরকার সেই দায়িত্ব পালন করেছে। এ অধ্যায়ের মর্মার্থ হলো, অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করা। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির জানান, সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদ প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন। এরপর রাত সাড়ে ৯টায় প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের সঙ্গে তাঁদের পরিবার সদস্যরা দেখা করেন। দেখা করার পর সাকা চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী দাবি করেন, তাঁর বাবা প্রাণভিক্ষা চাননি। তিনি বলেন, ‘বাবা বলেছেন, তিনি কোনো কাগজে স্বাক্ষর করেননি।’ মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর জানান, ‘তাঁর বাবা কোনো ধরনের প্রাণভিক্ষার আবেদন করেননি। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com